শিরোনাম
Passenger Voice | ০১:৪২ পিএম, ২০২৪-০২-১৪
বগুড়ার গাবতলী উপজেলার পোড়াদহ মেলায় গড়ে উঠেছে অস্থায়ী পাইকারি মাছের আড়ত। এ মেলা মাছের জন্য বিখ্যাত।
প্রতি বছরের মতো মেলা শুরুর একদিন আগে বসানো এসব আড়তে এরই মধ্যে বিকিকিনি হয়েছে পাঁচ-ছয় কোটি টাকার মাছ। মেলায় প্রায় ১০ কোটি টাকার মাছ বিক্রি হবে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।
পোড়াদহ মেলা প্রাঙ্গণের পূর্ব প্রান্তে রাস্তা ঘেঁষে ১২টির মতো বড় আড়ত বসেছে। রাত সাড়ে ৩টা থেকে মেলায় আসা বিভিন্ন এলাকার খুচরা ব্যবসায়ী এসব আড়ত থেকে মাছ কিনতে শুরু করেন। এরপর তারা মেলায় বসানো দোকানে সেসব মাছ তোলেন। সেই মাছ কিনে নেন সাধারণ জনগণ।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর পৌনে ১২টা পর্যন্ত এসব আড়তে পাইকারি দর হিসেবে বিভিন্ন প্রজাতির মাঝারি ও বড় আকারের প্রায় পাঁচ থেকে ছয় কোটি টাকার মাছ বেচাকেনা হয়েছে। আড়তদারদের দাবি, মেলায় এবার প্রায় ১০ কোটি টাকার বিকিকিনি হবে।
এদিকে এ বছর মেলায় সবচেয়ে বেশি মাছ আনা হয়েছে বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা। এর মধ্যে ব্ল্যাক কার্প, গাঙচিল, চিতল, বোয়াল, রুই, কাতলা, মৃগেল, হাঙড়ি, গ্রাস কার্প, সিলভার কার্প, বিগহেড, কালিবাউশ, পাঙ্গাস মাছ অন্যতম।
ছয়তারা আড়তের আড়তদার শাহাদত হোসেন বাবু বলেন, অনেক বছর ধরে এ মেলায় আড়তদারি করি। ঐতিহ্যবাহী এ মেলা শুরুর প্রায় দুই সপ্তাহ আগে থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পাইকারি ব্যবসায়ীরা এ মেলাকে সামনে রেখে মাছ কেনা শুরু করেন। এসব মাছ তারা সংরক্ষণ করেন ছোট ছোট পুকুরে। মেলা শুরুর একদিন আগে পাইকারি ব্যবসায়ীরা ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে মেলায় মাছ নিয়ে আসেন। স্থানীয় আড়তদারের মাধ্যমে তা মেলায় আসা খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করা হয়।
খাজা বাবা আড়তের মালিক জয়নাল আবেদীন জানান, তিনিসহ অন্য আড়তদাররা রাত সাড়ে ৩টা থেকে পাইকারি মাছ বিক্রি শুরু করেন। সকাল ১০টার মধ্যে তিনি মাঝারি ও বড় আকারের বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৬০ লাখ টাকার মাছ বিক্রি করেছেন। এর মধ্যে পাঁচ থেকে ১৫ কেজি ওজনের মাছ সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আড়তদার সিরাজুল ইসলাম বলেন, তিনি প্রায় ৩০ লাখ টাকার মাছ বিক্রি করেছেন দুপুরের আগে। বিক্রি করা মাছের মধ্যে রুই, মৃগেল, সিলভার কার্প, বিগহেড, কাতলা অন্যতম। রাজশাহী, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, নওগাঁ, চট্টগ্রাম, সাতক্ষীরাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা শহর থেকে ব্যবসায়ীরা এ মেলায় পাইকারি মাছ বিক্রি করতে এসেছেন।
এ মেলায় প্রায় ৮০০ খুচরা মাছ ব্যবসায়ী দোকান বসিয়েছেন। তারা নিজেরাও বিভিন্ন এলাকা থেকে মাছ নিয়ে এসেছেন। পাশাপাশি প্রত্যেক খুচরা বিক্রেতা ক্রেতার চাহিদা মাথায় রেখে আড়ত থেকেও মাছ কিনেছেন। তবে খুচরা ব্যবসায়ীদের মাছ বিক্রির হিসাব জানতে মেলা শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বলেও জানান এসব আড়তদার।
প্যা/ভ/ম
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 2019 - 2024 PassengerVoice | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ
Developed By Muktodhara Technology Limited.